১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩১শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচ্ছদ ময়মনসিংহ ময়মনসিংহে সাবেক ডিসির এক মুগ্ধকর আবিষ্কার হালুয়াঘাটের গাবড়াখালি গারো হীল পর্যটন কেন্দ্র।।
২, মে, ২০২১, ১২:২০ পূর্বাহ্ণ - প্রতিনিধি:

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।

ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে গাবরাখালি গারো হীল পর্যটন কেন্দ্র।ময়মনসিংহের সাবেক জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা থেকে অপার সৌন্দর্যে ঘেঁরা মনোরম পরিবেশে পিকনিক স্পট গড়ে তুলেছিলেন। পর্যটন কেন্দ্রটি দিন-দিন মন কেড়ে নিচ্ছে দর্শনার্থীদের। প্রতিনিয়ত বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। দুর দুরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছে এই গারো হীল পর্যটন কেন্দ্র। ১২৫ একর এলাকা জুড়ে ছোট-বড় ৬৭টি পাহাড় নিয়ে গঠিত পর্যটন কেন্দ্রটির পাহাড়গুলো প্রায় ৭০ফুট থেকে ২০০ফুট উচু । যার উপর থেকে দেখা মেলে ইন্ডিয়ান বর্ডার। পাহাড়গুলোর রয়েছে বাহারী নাম । যেমন- চিতাখলা টিলা, যশুর টিলা, মিতালী টিলা, বাতাসী টিলা ইত্যাদি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য রয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্রে।

চারপাশে সমতল বেষ্টিত পাহাড়, পাখিদের কোলাহল ও দৃষ্টিনন্দন পানির দৃশ্য যেন শীতল করে দেয় মনকে। এই পিকনিক স্পটে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কিছু অংশ দেখা যায় পাহাড়ের উপর থেকে। সবুজের সমারোহ ও গজারী বাগানের মনোহারি দৃশ্য দেখে দর্শনার্থীদের চোখ ফেলা বড় দায়।

গারো পাহাড়ের ধ্যানমগ্ন প্রতিকৃতি সৌন্দর্য পিপাসুদের মন কেড়ে নেয়।

ঐতিহ্যবাহী গারো পাহাড়ের অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সকল বয়সের মানুষকে। বাহিরের এলাকা থেকেও পর্যটকরা আসেন এই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য।পর্যটকদের জন্য রয়েছে নানা সুবিধা। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, প্রবেশ মূল্য মাত্র ১০ টাকা, রয়েছে প্যাডেল ভোট, লেক ও ঝুলন্ত ব্রিজ।

এছাড়াও শিশুদের জন্য রয়েছে দোলনা, বেবি পিচ, সুপেয় খাবার পানি, দূরের যাত্রীদের জন্য রয়েছে রেস্ট হাউজ, স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক শৌচাগার।

ভারতের মেঘালয় প্রদেশের পাশ ঘেঁষে পিকনিক স্পটটি তৈরি হওয়ায় ঐ এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় অনেকে সাবেক জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিবেদককে বলেন, উনার এই সুন্দর উদ্যোগে একদিকে খাস জমির উপর সরকারের রাজস্ব আদায় হচ্ছে। অন্যদিকে, এই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ আরো সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে এলাকাটি হয়ে উঠবে একটি মনোরম পর্যটন কেন্দ্র ।
প্রাকৃতিক পরিবেশের নানা মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে আপনার পরিবার পরিজন নিয়ে আজই চলে আসুন গাবরাখালী গারো হীল পর্যটন কেন্দ্রে।

পর্যটন কেন্দ্রটিতে যেতে ময়মনসিংহ থেকে হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার উভয় দিক থেকে বাস, সিএনজি, মাইক্রোবাস দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। এমন উদ্যোগ আজো ময়মনসিংহবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেয় জেলা সাবেক জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের কথা। যিনি সর্বদায় ময়মনসিংহের মানুষ ও জেলার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে কাজ করেছেন।
উল্লেখ্য-প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের অসিম লীলাভুমি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার গাবরাখালী ও গলইভাংগা গ্রাম।এই দুটি গ্রামে রয়েছে ময়মনসিংহের গারো পাহাড় নামে খ্যাত এর একাংশ ।এর অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দয্য মুগ্ধ করে সকল বয়সের মানুষকে। বাহিরের এলাকা থেকেও মানুষ আসে এই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য। সমতল ভূমি পরিবেষ্টিত পাহাড়, পাখির কলরব আর সোনালী সূর্যের সূর্ক্ষাস্তক্ষণ দেথতে অনেক সুন্দর।

১২৫ একর এলাকা জুড়ে ছোট-বড় ৬৭টি পাহাড় নিয়ে গাবড়াখালি পাহাড় গঠিত। পাহাড়গুলো ৭০ফুট থেকে ২০০ফুট উচু হবে (এলাকার মানুষের বর্ণনামতে) ।পাহারগুলোর বিভিন্ন নাম আছে। যেমন- চিতাখলা টিলা, যশুর টিলা, মিতালী টিলা, বাতাসী টিলা ইত্যাদি। পাহাড়ের মাঝখানে নীচু জমি আছে পানিতে ভরে গেলে লেক মনে হবে। নীচু জমিগুলোতে বোরো মৌসুমে ভারত থেকে সরার পানি দিয়ে বোরো ধান আবাদ করা হয়।পাহাড়গুলোতে গজারি গাছ লাগানো হয়েছে।পূর্বে হাজং ও বানাই জনগোষ্ঠির বসবাস এ গাবড়াখালি গ্রামে। এর উত্তরপ্রান্ত সংলগ্ন এলাকায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমানা । সন্ধ্যায় ভারতের সীমানার দিকে নীলাভ আলোর বিচ্ছুরন দেখতে খুবই সুন্দর। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন (মেকিয়ারকান্দা বাজার থেকে গাবড়াখালি পাহাড় পর্যন্ত ৬কিমি রাস্তা) হলে হয়ত: ‘গাবড়াখালি” পাহাড় ‍একদিন হয়ে উঠবে সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র।এমন মগ্ধকর পরিবেশ ময়মনসিংহ জেলায় থাকতেও জেলার মানুষগুলো বিভিন্ন এলাকায় ভ্রমন করতে যায়। এতে ময়মনসিংহ জেলা আর্থিক বা বিভিন্ন ভাবে ভাবে পিছিয়ে যাচ্ছিলো। ফলে দৃশ্যটি ময়মনসিংহ জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান এলাকাটি দেখে তার চিন্তা-চেতনায় এখানে পর্যটন এলাকা গড়ে তুলতে প্রকল্প তৈরী করেন এবং সেটা বাস্তবায়নে সক্ষম হন।গড়ে তুলেন পর্যটন কেন্দ্র। তিনি এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলার পর থেকে ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে দর্শনার্থীরা প্রতিদিন সেখানে ভীড় জমান।